টুংগীপাড়া একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ১২৭.২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি উপজেলা। উপজেলাটি ভৌগোলিকভাবে মায়াবতী মধুমতি নদীর কোল ঘেষে সবুজ শ্যামল আর নদী-নালা হাওড় বাওড়ের কোলে লালিত। উপজেলাটির নামকরণেও রয়েছে অভিনবত্ব- শোনা যায়, পারস্য এলাকা থেকে আগত কতিপয় মুসলিম সাধক অত্র এলাকার প্লাবিত অঞ্চলে টং বেঁধে বসবাস করতে থাকেন এবং কালক্রমে ঐ টং থেকেই নাম হয় টুংগীপাড়া। এই উপজেলাতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করায় উপজেলাটি ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিকভাবে সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত ও সর্বজন পরিচিত একটি পুন্যভূমি। উপমহাদেশের অন্যতমশ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন হযরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.)ও টুংগীপাড়ায় জন্ম গ্রহন করায় আধ্যাতিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে উপজেলাটিকে করেছে আরো সমৃদ্ধ । ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই টুংগীপাড়ারই কৃতি সন্তান এবং টুঙগীপাড়া-কোটালীপাড়া সংসদীয় আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য। টুংগীপাড়ার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর । ধান,পাট এবং গলদা চিংড়ি কৃষি নির্ভর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ভাসমান কচুরিপানার উপর সবজি চাষ এবং প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। বর্ণি বাওড় এবং উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহমান বাঘিয়ার নদী, শৈলদাহ নদী, দাড়িয়ারগাঙসহ সংযুক্ত প্লাবনভূমি সাদু পানির জীববৈচিত্রের বিপুল সম্ভার। বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ সাদু পানির এই জীববৈচিত্র্যকে করেছে হুমকির সম্মুখিন। সংশ্লিষ্ট সকলের সমম্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনাই পারবে প্রকৃতির এ অমিত সৃষ্টিকে রক্ষা করতে। কৃষি নির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠান এ অঞ্চলে অর্থনীতিতে যোগ করতে পারে নতুন সম্ভাবনা এবং খুলে দিবে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS