Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে টুংগীপাড়া।

এক নজরে টুংগীপাড়া উপজেলাঃ

গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ২২.৯০০০উত্তরঅক্ষাংশএবং ৮৯.৮৮৩৩পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত ১২৭.২৫ বর্গ কিঃ মিঃ আয়তন বিশিষ্ট একটি উপজেলা

সাধারণ তথ্যাবলীঃ

ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা 

:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সমাধি সৌধ

। জনসংখ্যা (আদমশুমারী-২০১১) 

:

৯৯,৭০৫ জন

পুরুষ                  

:

৫০,৬৯০ জন

মহিলা   

:

৪৯,০১৫ জন

। আবাদী জমি                                 

:

১০,০৭৬ হেক্টর

এক ফসলী          

:

৪৩৫০ হেক্টর

দুই ফসলী 

:

৩৮০৫ হেক্টর

তিন ফসলী

:

১৯২১ হেক্টর

। মোট পরিবার

:

২০,৭৬৩ টি

পৌরসভা (টুংগীপাড়া পৌরসভা)

:

০১ টি

। ইউনিয়ন(কুশলী, বর্ণি, পাটগাতি, ডুমুরিয়া ও গোপালপুর)                            

:

০৫ টি

 

। গ্রাম                                   

:

৬৯ টি

। ইউনিয়ন ভূমি অফিস        

:

০৩ টি

। মৌজা                              

:

৩৩ টি

১০। কলেজ                                

:

০২ টি

সরকারী          

:

০১ টি

বেসরকারী         

:

০১ টি

১১। স্কুল এন্ড কলেজ                       

:

০১ টি

১২। মাধ্যমিক বিদ্যালয়                 

:

১৫ টি

সরকারী            

:

০১ টি

বেসরকারী          

:

১৪ টি

১৩। নিমণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়            

:

০২ টি

১৪। মাদ্রাসা

:

০৩ টি

ফাজিল মাদ্রাসা     

:

০২ টি

এবতেদায়ী মাদ্রাসা  

:

০১টি

 

 

 

১৫। প্রাথমিক বিদ্যালয়                    

:

৭৬টি

সরকারী

:

৪২ টি

রেজিস্টার্ড

:

৩৪টি

১৬। হাসপাতাল                               

:

০২টি

১৭ কমিউনিটি ক্লিনিক                       

:

০৭ টি

১৮। এল এস ডি খাদ্য গুদাম            

:

০১ টি

১৯। মসজিদ                             

:

১৯৫ টি

২০। মন্দির                          

:

১০৫ টি

২১। পর্যটন মোটেল                  

:

০১ টি

২২। ভি আই পি রেষ্ট হাউস                

:

০১ টি

২৩। ডাকবাংলো                     

:

০১ টি

২৪। অডিটরিয়াম                       

:

০১ টি

২৫। ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন               

:

০১ টি

২৬। বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান

:

শেখ রাসেল দুঃস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পূর্ণবাসন কেন্দ্র

 

 

শহীদ শেখ জামাল যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

  

 

বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ গবেষনা ইনস্টিটিউট

     

 

 

২৭। সড়

:

৩০২ কিঃ মিঃ (১১০ টি রাস্তা)

পাঁকা

:

১৮২ কিঃ মিঃ

কাঁচা

:

১২০ কিঃ মিঃ

উপজেলা কৃষি অফিসের ২০১২ সালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীঃ    
খানা : ১৭,৬১৩ (কৃষক পরিবার)
ফসলের নিবিড়তা : ১৭৫.৮৯%
কৃষি পরিবেশ অঞ্চল : ১২, ১৪
নৌ-বন্দর সমূহ :

ক) পাটগাতী, খ) বাঁশবাড়ীয়া, গ) তারাইল, ঘ)ডুমরিয়া (বিলুপ্ত)

বন্দরগুলো হতে ঢাকা,খুলনাসহ বরিশাল,পিরোজপুর, নাজিরপুর, বাগেরহাট, বানারীপাড়া

কোটালীপাড়া ইত্যাদি স্থানে নৌ-যান চলাচল করে থাকে।

প্রধান প্রধান রপ্তানী জাত পন্য :

ধান,পাট, হোগলা, বাঁশ, সবজি (পানি কচু, ওলকপি, উচ্ছে, চালকুমড়া, কদু (লাউ), মিষ্টিকুমড়া, শাপলা

মৎস্য- দেশীয় প্রজাতির সরপুটি মাছ, শিং মাছ, মাগুর মাছ, কৈ মাছ, বেলে মাছ, সোল মাছ, টাকি মাছ, গলদা চিংগী এছাড়া রুই, কাতলা, মৃগেলসহ কার্প জাতীয় সকল প্রকার মাছ।

 

উপজেলার পটভূমিইতিহাস ও সংস্কৃতি :

লালসবুজের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এ দেশেরই দক্ষিণভাগে এক সময়ের স্রোতস্বিনী মধুমতির কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে উপজেলা টুংগীপাড়া। যার বুক জুড়ে রয়েছে কাকেরচক্ষু মাজা স্বচ্ছ জলের ধারা বাঘিয়া নদী, রয়েছে মাছে-ভাতে বাঙালির হরেকরকম মাছের আধার বর্ণি বাওড়। আরো আছে নানা রকম ফসল উৎপাদনের জন্য বিস্তীর্ণবিল ও চরাঞ্চল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে রয়েছে দুটি সুগগ্ধি গোলাপ-যার একটিরাজনৈতিক অন্যটি ধার্মিক।

 

          একটিপৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাত্র ১২৭.২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনেরটুংগীপাড়া উপজেলার নাম করণে রয়েছে অভিনবত্ব- শোনা যায় পারস্য এলাকা থেকেআগত কতিপয় মুসলিম সাধক অত্র এলাকার প্লাবিত অঞ্চলে টং বেঁধে বসবাস করতেথাকেনএবং কালক্রমেঐ টং থেকেই নাম হয় টুংগীপাড়া। টুংগীপাড়া উপজেলার উত্তরে রয়েছে গোপালগঞ্জজেলা সদর,দক্ষিণে ও পশ্চিমে মায়াবতী মধুমতি। মধুমতির অপর পাড়ে রয়েছেধর্মীয় সাধক পুরুষ মরহুম খানজাহান আলী (রাঃ)এর পূণ্য ভূমি বাগেরহাট জেলারচিতলমারী ও মোল্লারহাট উপজেলা। আর পূর্বে রয়েছে কিশোর কবি সুকান্তভট্টাচার্যের আদি তীর্থ ভূমি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা। আয়তনেছোট এবং নামে অভিনবত্ব থাকলেও বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টুংগীপাড়ায়রয়েছে গৌরবদীপ্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

          এলাকারমানুষের প্রধান উপজীবিকা কৃষি। তবে চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ীর সংখ্যাওনিতান্ত কম নয়। তবে সাধারণ ভাবে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা ভাল নয়।কারণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বরাবরই টূংগীপাড়া অবহেলিত। ফলে এখানেমানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তেমন জোরালো ভাবে বা দৃঢ়ভাবে গড়ে উঠেনি।

 

ফরিদপুর, মাদারীপুর, পিরোজপুর ও বাগেরহাটের নিকটবর্তী এলাকা হওয়ায় অত্র এলাকার মানুষের আঞ্চলিক ভাষা অনেকটা মিশ্র প্রকৃতির। গানের মাধ্যমে অত্র এলাকার ভাষা প্রকৃতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণাপাওয়া যায়-

"বেয়ান বেলা কোয়ানে গ্যালা ও ছাওয়ালের মা

আল চষতি যাব আমি ভাত দিয়া যা

মুঠ্যা শুগোতি দিচ্ছি আমি তুমি চিল্লাও ক্যা

আল ব্যাচা টাহা নিয়া হাটে যাবানি

হলদ্যা একখান কাপুড় তোরে কিন্যা দিবানি

তোমার দ্যায়া নাগবে নানে কিন্যা নিবানি

আমি মুঠ্যা ব্যাচা টাহা দিয়া বিন্যা নিবানি

তা অলিতো বাল অবেনে থামি নিকবানি

আমি থামি কিনবানি

স্বাত্তপর এমন বিটার ঘর আমি করি

ইচ্চে অয় চল্যা যাই বাপের বাড়ি

যাতি যদি পারতি তুই কবে চল্যা যাতি

আমার মত বাজান আর দেবে নানে খাতি

খাওয়ার খোটা দিলি তুই ওরে হালোর বিটা

এহনই দিলাম আমি বাপের বাড়ি হাটা

কি করিস তুই করিস কি ও ছাওয়ালের মা

ভাত দেয়া নাগবেনা তুই মুঠ্যা শুগোতি যা

হু............................................উ।"

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাঃ

দর্শনীয় স্থানঃ

  •  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স।
  •  গওহরগাঙ্গাজামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা

টুঙ্গীপাড়ার ঐতিহাসিক নিদর্শনঃ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় অবস্থিত।১৯৭৫সালের১৫আগস্টকিছুসংখ্যকবিপথগামী সেনা অফিসারের হাতেসপরিবারেনির্মমভাবে নিহতবঙ্গবন্ধুকেএখানেসমাধিস্থকরাহয়।সমাধিসৌধটিকেবর্তমানেএকটিদৃষ্টিনন্দনস্থাপনায়পরিণতকরাহয়েছে।

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বঃ

জাতির জনকবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান(১৯২০-১৯৭৫):   জন্ম১৭ মার্চ, ১৯২০ টুংগীপাড়ায়। পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান। প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদারীপুর ইসলামিয়া হাই স্কুল, গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল এবং মথুরানাথ বাবুর মিশন স্কুলে। তিনি ১৯৪২ সালেপ্রবেশিকা পাশ করেন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ হতে বি,এ পাস করেন।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হলে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৪৭ সালে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনেগ্রেফতার হন। এরপর দেশে খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতারহন। ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে কারাগারে থেকেই জোর সমর্থন দেন। ১৯৫৪সালের যুক্তফ্রন্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতালাভ করে। তিনি প্রাদেশিক সরকারের কৃষি, বন ও সমবায় মন্ত্রী নিযুক্ত হন।১৯৫৬ সালে আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রী সভায় শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও দুর্নীতি দপ্তরের মন্ত্রী হন। ১৯৫৮ সালে দেশে সামরিক শাসন জারি হলেতিনি গ্রেফতার হন। পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে বাঙালীর স্বার্থরক্ষার জন্য তিনি ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবী ঘোষণা করেন। ১৯৬৬ সালে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে 'আগরতলা ষড়যন্ত্র' নামে একমামলায় পুনরায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দেশেরছাত্র-জনতা। ৬৯ এর গণ-আন্দোলনের চাপে ২২ ফেব্রুয়ারি  'আগরতলা ষড়যন্ত্রমামলা' প্রত্যাহার করে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়। ১৯৬৯ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারিছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক তিনি 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত হন।১৯৭০ সালে৭ই ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করারকথা। তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পিপলস পার্টির প্রধানজুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে ষড়যন্ত্র করে সংসদ অধিবেশন ডাকার পর স্থগিতঘোষণা করেন। 'বঙ্গবন্ধু' অসহযোগের ডাক দেন। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানেঐতিহাসিক  ভাষণ দান করেন। এরপর ইয়াহিয়া ও ভুট্রো ঢাকায় এসে গোলটেবিল বৈঠকবসেন। এজন্য ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে সেনাবাহিনী নিরস্ত্রবাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে । বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানেনিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তার অবর্তমানে তাঁকে রাষ্ট্রপতি করেবিপ্লবী সরকার (মুজিবনগর সরকার) গঠন করা হয়। দেশ স্বাধীন হলে তিনি ১০জানুয়ারি ১৯৭২ পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।১২জানুয়ারি ১৯৭২ তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।১৯৭৫ সালের২৪ জানুয়ারি 'বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ' সংক্ষেপে 'বাকশাল' নামেসর্বদল ভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।  ১৯৭৫সালের ২৫ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণ করেন। তিনি শিল্পকারখানা ব্যাংক, বীমা জাতীয় করণ, রক্ষীবাহিনী গঠন এবং ২৫ বছর মেয়াদী ভারতবাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন করেন। ১৯৭৩ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদ তাঁকে'জুলি ও কুরি' পদকে ভূষিত করে। তাঁর জীবনের ১৩টি বছর কারাগারে কেটেছে।গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন তাঁর রাজনীতিরদীক্ষাগুরু। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায়ধানমন্ডিস্থ বাস ভবনে একদল বিদ্রোহী সামরিক ঘাতকের হাতে সপরিবারেনির্মমভাবে নিহত হন । দেশের শত শত প্রতিষ্ঠান তাঁর নামের গৌরবময় স্মৃতি বহনকরছে। 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা (১৯৩০-১৯৭৫): শেখ ফজিলাতুন্নেসা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার  পিতার নাম শেখ নুরুল হক এবং মাতার নাম শেখ হোসনে আরা বেগম। তিনি গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তিনি মামলা পরিচালনা করা, দলকে সংগঠিত করা ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী হিসাবে সবসময় তাঁর পাশে থেকে তাঁকে অনুপ্রেরণা দান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ জাতির জনকের গ্রেপ্তারের সময় তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গৃহবন্দী হন। ১৯৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে এলে তিনিও বঙ্গবন্ধুর সাথে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বিশেষ করে নির্যাতিতা মা-বোনদের সহযোগিতা ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে দেশ ও জাতির সেবা করে যান।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিদ্রোহী সামরিক ঘাতকের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন।তাঁর নামে গোপালগঞ্জ শহরে বেগম ফজিলাতুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

শেখ হাসিনা: শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া গ্রামে  বিখ্যাত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি,এ ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি বোষ্টন বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেডা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, অষ্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্টের ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের এবার্টি বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়ার পিপলস্ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন । শেখ হাসিনা ৩য় , ৫ম, ৭ম , ৮ম ও ৯ম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৩য় , ৫ম ও ৮ ম সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন । ৭ম সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, রাজনীতি, গণতন্ত্র ও দারিদ্র্য বিমোচন সংক্রান্ত বাংলা ও ইংরেজিতে অনেক প্রবন্ধ  এবং গ্রন্থ প্রণয়ন করেন ।

শেখ সেলিম: শেখ ফজলুল করিম সেলিম ১৯৪৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতা মরহুম শেখ নুরুল হক । শেখ ফজলুল করিম সেলিম সেন্টজোসেফ্স হাইস্কুল, খুলনা হতে ১৯৬৩ সালে এস,এস,সি, টেকনিক্যাল কলেজ, ঢাকা থেকে  ১৯৬৫ সালে এইচ,এস,সি পাস  করেন । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সাথে বি,এসসি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  ১৯৭১ সাথে ডিপ্লোমা-ইন-টাটিসটিক্স  ডিগ্রি লাভ করেন । তিনি ১৯৮০, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬  আওয়ামী লীগের মনোনয়েনে জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন । তিনি ৭ম জাতীয় সংসদের মেয়াদকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৯ম জাতীয় সংসদে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে সাপ্তাহিক চিত্রালীর সম্পাদক, স্বত্তাধিকারী ও প্রকাশক ।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িকীতে বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে।  

শামছুল হক ফরিদপুরী (ছদর সাহেব) (১৮৯৮-১৯৬৯): তিনি টুংগীপাড়া থানাধীন পাটগাতী ইউনিয়নের গওহরডাঙ্গা গ্রামে ১৮৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মো: আব্দুল্লাহ সাহেব এবং মাতা মরহুম আমেনা খাতুন।তিনি প্রখ্যাত আলেম, দার্শনিক, গবেষক, সংস্কারক, সত্য ও ন্যায়ের প্রচারক ছিলেন। দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৯ সালের ২১ শে জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

জাতীয় সংসদ সদস্যঃ

নামঃ শেখ হাসিনা

অন্যান্য তথ্যঃশেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া গ্রামে  বিখ্যাত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।শেখহাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি,এ ডিগ্রি লাভ করেন।পরবর্তীতে তিনি বোষ্টন বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেডা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, অষ্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্টের ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের এবার্টি বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়ার পিপলস্ বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। শেখ হাসিনা ৩য় , ৫ম, ৭ম , ৮ম ও ৯ম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৩য় , ৫ম ও ৮ ম সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। ৭ম সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, রাজনীতি, গণতন্ত্র ও দারিদ্র্য বিমোচন সংক্রান্ত বাংলা ও ইংরেজিতে অনেক প্রবন্ধ  এবং গ্রন্থ রচনাকরেন।